৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আলোচনা শুরু না করলে টানা ৬০ ঘণ্টার হরতাল। শুক্রবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দেওয়া বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়ার এই বক্তব্যে দুটি গভীর ফাঁক রয়েছে। মহাজোটের উচিত সেগুলো দক্ষতার সাথে কাজে লাগানো। যেমন: খালেদা জিয়া বলেছেন আলোচনার কথা। তবে কিসের আলোচনা সে ব্যাপারে কিন্তু তিনি সুস্পষ্ট কিছু বলেননি। এটা সবারই জানা, উনার দাবি তত্ত্বাবধায়ক সরকার। কিন্তু বক্তব্যে এ বিষয়ে সরকারকে আলোচনার কথা তিনি বলেননি।
মহাজোট সরকার বলছে, শেখ হাসিনাকে প্রধান করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কথা। এখন চাইলেই মহাজোট আলোচনায় আসতে পারে এ বিষয়ে। এক্ষেত্রে হয়তো তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সরকার প্রধান না করে স্পিকার শিরিন শারমীন চৌধুরী অথবা রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদকে সরকার প্রধান করার দাবি তুলতে পারেন।
অপরদিকে বিএনপিও মন্ত্রিসভায় সহাবস্থান চাইতে পারেন। তবে একটি কথা; এতে করে কোনো নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠা হবে না। বরং প্রতিষ্ঠা হবে উভয়দলীয় সরকার। আর এগুলোর মাঝেই হারিয়ে যাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সেই মরণপণ দাবি।
দ্বিতীয় ফাঁকটি হলো- বেগম খালেদা জিয়া আলোচনা শুরুর কথা বলেছেন! শুরু বলতে উনি আসলে কি বুঝাতে চাচ্ছেন? কারা শুরু করবে? মেয়াদোত্তীর্ণ সরকার? বর্তমান সরকার তো আপাতঃ দৃষ্টিতে মেয়াদোত্তীর্ণই। তবে এখানে খালেদা জিয়া একটি উদারতা দেখিয়েছেন, কঠোর কর্মসূচি না দিয়ে। তিনি অত্যন্ত সুচিন্তার সাথে কৌশলের আশ্রয় নিয়েছেন। ক্ষমতাসীনদেরও উচিত এই সুযোগকে কাজে লাগানো।
শনিবার মহাজোটের পক্ষ থেকে আলোচনা শুরুর প্রস্তাব আসলেই আগামী তিন দিন অর্থাৎ রবি, সোম ও মঙ্গলবারের হরতাল প্রত্যাহার করতে বাধ্য হবেন খালেদা জিয়া। দেশের স্বার্থে আশা করছি, দুপক্ষই বিষয়টি নিয়ে সমাধানের পথে এগিয়ে আসবে।
মোয়াজ্জেম হোসাইন
mhssylbd@yahoo.com
মহাজোট সরকার বলছে, শেখ হাসিনাকে প্রধান করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কথা। এখন চাইলেই মহাজোট আলোচনায় আসতে পারে এ বিষয়ে। এক্ষেত্রে হয়তো তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সরকার প্রধান না করে স্পিকার শিরিন শারমীন চৌধুরী অথবা রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদকে সরকার প্রধান করার দাবি তুলতে পারেন।
অপরদিকে বিএনপিও মন্ত্রিসভায় সহাবস্থান চাইতে পারেন। তবে একটি কথা; এতে করে কোনো নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠা হবে না। বরং প্রতিষ্ঠা হবে উভয়দলীয় সরকার। আর এগুলোর মাঝেই হারিয়ে যাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সেই মরণপণ দাবি।
দ্বিতীয় ফাঁকটি হলো- বেগম খালেদা জিয়া আলোচনা শুরুর কথা বলেছেন! শুরু বলতে উনি আসলে কি বুঝাতে চাচ্ছেন? কারা শুরু করবে? মেয়াদোত্তীর্ণ সরকার? বর্তমান সরকার তো আপাতঃ দৃষ্টিতে মেয়াদোত্তীর্ণই। তবে এখানে খালেদা জিয়া একটি উদারতা দেখিয়েছেন, কঠোর কর্মসূচি না দিয়ে। তিনি অত্যন্ত সুচিন্তার সাথে কৌশলের আশ্রয় নিয়েছেন। ক্ষমতাসীনদেরও উচিত এই সুযোগকে কাজে লাগানো।
শনিবার মহাজোটের পক্ষ থেকে আলোচনা শুরুর প্রস্তাব আসলেই আগামী তিন দিন অর্থাৎ রবি, সোম ও মঙ্গলবারের হরতাল প্রত্যাহার করতে বাধ্য হবেন খালেদা জিয়া। দেশের স্বার্থে আশা করছি, দুপক্ষই বিষয়টি নিয়ে সমাধানের পথে এগিয়ে আসবে।
মোয়াজ্জেম হোসাইন
mhssylbd@yahoo.com
No comments:
Post a Comment