১৮ দলের ডাকা ৬০ ঘণ্টা হরতালের সমর্থনে গতকাল শনিবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী পল্টন থানা রাজধানীতে মিছিল বের করে-সংগ্রাম
স্টাফ রিপোর্টার : টানা ৬০ ঘণ্টার হরতালের সমর্থনে রাজধানীর ৫০ স্পটসহ সারা দেশে মিছিল ও সমাবেশ করেছে জামায়াতে ইসলামী। ঢাকায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, দেশের মানুষ ১৮ দলীয় জোটের ২৫ আক্টোবরের কর্মসূচি সর্বাত্মকভাবে সফল করে সর্বদলীয় সরকারের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বিরোধী দলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়ার নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের প্রস্তাবকেই সমর্থন করেছে। মূলত নির্বাচনকালীন সময়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি এখন গণদাবিতে পরিণত হয়েছে। দেশের জনগণ নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সকল দলের অংশগ্রহণে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। সচেতন জনতা জাতীয় সংসদ বহাল রেখে দলীয় সরকারের অধীনে পাতানো, ষড়যন্ত্র ও প্রহসনের একতরফা নির্বাচন মেনে নেবে না বরং তা সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিহত করবে। তিনি টালবাহানা পরিহার করে অনতিবিলম্বে কেয়ারটেকার সরকারের গণদাবি মেনে অবৈধ সরকারকে পদত্যাগ এবং আজ থেকে ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত টানা ৩ দিনের হরতাল সফল করতে সর্বস্তরের জনতার প্রতি আহ্বান জানান। সরকার গণদাবি মানতে ব্যর্থ হলে তাদের জন্য করুণ পরিণতি অপেক্ষা করছে বলেও তিনি সরকারকে সতর্ক করে দেন।
রাজধানীর সবুজবাগে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী আয়োজিত সরকারের উপর্যুপরি জুলুম-নির্যাতন বন্ধ, কেয়ারটেকার সরকারের বিধান সংবিধানে পুনঃপ্রবর্তন, সরকারের পদত্যাগ ও নতুন নির্বাচন, কথিত মানবতাবিরোধী বিচারের নামে প্রহসন বন্ধ, বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে অবিলম্বে আমীরে জামায়াত মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীসহ শীর্ষ নেতৃবৃন্দের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আজ থেকে দেশব্যাপী লাগাতার ৩ দিনের হরতালের সমর্থনে এক বিক্ষোভ পরবর্তী সমাবেশে তিনি একথা বলেন। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জামায়াত নেতা বজলুর রশীদ, আব্দুল বারী, মোয়াজ্জেম হোসেন, ছাত্র নেতা গোলাম সাদেক ও হাফিজুর রহমান প্রমুখ।
ড. মাসুদ বলেন, সরকার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়ে কথিত মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচারের নামে জামায়াতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ জাতীয় নেতাদের দ-াদেশের মাধ্যমে প্রাণদ-ে দ-িত করা হয়েছে। সে ধারাবাহিকতায় বিশ্ববরেণ্য মোফাসসিরে কুরআন আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামান ও আব্দুল কাদের মোল্লাকে প্রাণদ-ে দ-িত করা হয়েছে। সাবেক আমীরে জামায়াত ও ভাষা সৈনিক অধ্যাপক গোলাম আযমকেও দীর্ঘ মেয়াদে কারাদ- দেয়া হয়েছে। মূলতঃ সরকার ১৯৫ জন চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের ছেড়ে দিয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্যই কথিত বিচারের নামে প্রহসন করে জনপ্রিয় জাতীয় নেতৃবৃন্দকে হত্যা করার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে। কিন্তু সচেতন জনতা সরকারের সে ষড়যন্ত্র কখনোই বাস্তবায়িত হতে দেবে না বরং সরকার কোনো রায় কার্যকর করার ষড়যন্ত্র করলে জনগণ সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।
তিনি বলেন, সরকার জনগণকে ভয় পায় বলেই গণআন্দোলনে ভীত হয়ে জনগণের ওপর জুলুম-নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। গত ২৫ অক্টোবর ১৮ দলীয় জোটের দেশব্যাপী শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে সরকারি দলের সন্ত্রাসী বাহিনীর চোরাগুপ্তা হামলা চালিয়েছে। রাজধানীর মিরপুর পূর্ব থানার ৩ জামায়াত কর্মীকে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা নির্মমভাবে পিটিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে এবং কাফরুলে ৩ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের গুলীতে কক্সবাজারে ৩ জন ও চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জে ১ জন বিএনপি কর্মী এবং নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলায় পুলিশের গুলীতে জামায়াত কর্মী মুসলিম উদ্দিন নিহত ও ৯ জন আহত এবং সাতক্ষীরায় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের হামলায় জামায়াত কর্মী শফিকুল ইসলামকে শহীদ করা হয়েছে। কিন্তু জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে অতীতে কোনো গণআন্দোলনই দমন করা যায়নি, আওয়ামী লীগও তাদের ষড়যন্ত্রে কখনোই সফল হবে না বরং জনগণের উপর জুলুম-নির্যাতন তাদের জন্য বুমেরাং হতে বাধ্য। তিনি ষড়যন্ত্র ও অপরাজনীতির পথ পরিহার করে অবিলম্বে ইতিবাচক রাজনীতিতে ফিরে আসতে সরকারের প্রতি আহবান জানান। অন্যথায় তাদেরকে ইতিহাসের আঁস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হতে হবে।
আদাবর থানা : আদাবর থানার উদ্যোগে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি স্থানীয় হক সাহেবের গ্যারেজ থেকে শুরু হয়ে কল্যাণপুরে গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন থানা আমীর মাওলানা দেলোয়ার হোসেন, সেক্রেটারি আ ন ম হাসান নো’মান, জামায়াত নেতা কামাল আখতার কোরাইশী, ইমরান হাসান তারিক, শেখ আব্দুর রহীম, ছাত্র নেতা এনামুল হক ও আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ।
লালবাগ থানা ঃ লালবাগ থানার উদ্যোগে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি সাপরা মসজিদ থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন থানা আমীর জি এম সেলিম, সেক্রেটারি শামীমুল বারী ও মহসীন কবির প্রমুখ।
চকবাজার থানাঃ চকবাজার থানার উদ্যোগে নগরীতে মিছিল-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি বোর্ড অফিস থেকে শুরু হয়ে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে ঢাকেশ্বরীতে গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন থানা আমীর মফিজুল ইসলাম, জামায়াত নেতা মহসীন আলী, ছাত্র নেতা মাসুম ও ঈমাম হোসেন প্রমুখ।
শাহজাহানপুর থানা : শাহজাহানপুর থানার উদ্যোগে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি শাহজাহানপুর থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন থানা আমীর শামছুর রহমান, জামায়াত নেতা মোশাররফ হোসেন চঞ্চল, আল আমীন, সাইদুর রহমান, শরীফুল ইসলাম, ছাত্রনেতা বাহারুল ইসলাম ও মুস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।
পল্টন থানা : পল্টন থানার উদ্যোগে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি ফকিরেরপুল পানির ট্যাংকি থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিজয়নগর পানির ট্যাংকের সামনে সমাবেশে মিলিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য এডভোকেট হেলাল উদ্দীন, থানা আমীর অধ্যাপক মোকাররাম হোসাইন খান, জামায়াত নেতা আমিনুর রহমান, আলমগীর হোসেন, আব্দুল্লাহ বুলবুল, মুস্তাফিজুর রহমান, ছাত্র নেতা শরীফুল ইসলাম, সোহেল রানা মিঠু ও মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ। সমাবেশ শেষে পুলিশ অতর্কিতভাবে জনতার ওপর হামলা চালায়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশের হামলায় ৩ জন আহত হন এবং ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
পল্লবী/রূপনগর থানা : পল্লবী ও রূপনগর থানার যৌথ উদ্যোগে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখন পল্লবী থানা আমীর আব্দুস সালাম, রূপনগর থানা আমীর আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, সেক্রেটারি নাসির উদ্দীন ও পল্লবী থানা সেক্রেটারি আশরাফুল আলম প্রমুখ।
উত্তরা পূর্ব থানা : উত্তরা পূর্ব থানার উদ্যোগে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন থানা সেক্রেটারি বেলায়েত হোসেন সুজা, জামায়াত নেতা মাহবুব আলম, আবু সালেহ, মহীউদ্দীন, ছাত্র নেতা খায়রুজ্জামান ও জোবায়ের প্রমুখ। সমাবেশে পুলিশ অতর্কিত হামলা করলে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে মহিলাসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। পুলিশ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে।
এছাড়াও হাজারীবাগ, ডেমরা, শ্যামপুর, কদমতলী, যাত্রাবাড়ী, উত্তরা পশ্চিম, উত্তরখান, দক্ষিণখান, বিমানবন্দর, মতিঝিল, রমনা, শেরেবাংলানগর, তেজগাঁও, বনানী, গুলশান, বাড্ডা, খিলগাঁও, মুগদা, মোহাম্মদপুর ও ধানম-ি, কাফরুল, ভাসানটেকসহ মোট ৫০ স্পটে জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা হরতালের সমর্থনে মিছিল সমাবেশ করে। এ সময় পুলিশ ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে।
রাজশাহী অফিস : দেশব্যাপী তিনদিনের হরতালের সমর্থনে গতকাল শনিবার সকালে রাজশাহী মহানগরীতে ১৮ দলীয় জোটের উদ্যোগে এক বিরাট বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিপুলসংখ্যক রাজনৈতিক নেতা-কর্মী মিছিলে অংশ নেন।
মিছিলের আগে অবিলম্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার কায়েম ও সরকারের পদত্যাগের দাবিতে এবং হরতাল সফলের আহ্বান জানিয়ে নগরীর সাগরপাড়া বটতলা মোড়ে এক সমাবেশের আয়োজন করা হয়। বিএনপির রাজশাহী মহানগর সভাপতি মিজানুর রহমান মিনুর সভাপতিত্বে এই সমাবেশে বক্তব্য দেন রাজশাহী সিটি মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, মহানগর জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি ইমাজউদ্দীন ম-ল, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন প্রমুখ। সমাবেশে বক্তারা বর্তমান সরকারকে ‘অবৈধ’ উল্লেখ করে অবিলম্বে পদত্যাগের দাবি জানানো হয়। সেই সঙ্গে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনোভাবেই বিএনপিসহ ১৮ দল নির্বাচনে যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়া হয়। বিরোধী দলের দাবি আদায়ে সরকারকে বাধ্য করতে হরতালের মাধ্যমে রাজশাহীসহ পুরো দেশ অচল করে দেয়ার আহ্বান জানানো হয়। পরে বিক্ষোভ মিছিলটি নগরীর গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিলে ১৮ দলের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী অংশ নেন।
খুলনা অফিস : ২৭-২৯ তারিখে হরতাল সফল করার লক্ষ্যে ১৮ দলীয় জোট খুলনা মহানগর ও জেলা শাখার এক বিক্ষোভ সমাবেশ শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় নগরীর কেডিঘোষ রোডে বিএনপির অফিসে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৮ দলীয় জোটের সমন্বয়ক ও মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু এমপি সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এম নুরুল ইসলাম দাদু ভাই, জামায়াতে ইসলামীর মহানগরী আমীর মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, কেসিসির মেয়র মো : মনিরুজ্জামান মনি, জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা এমরান হোসাইন, মুসলিম লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, বিজেপি মহানগর সভাপতি এডভোকেট লতিফুর রহমান লাবু, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এসএম শফিকুল আলম মনা, মহানগরী জামায়াতের নায়েবে আমীর মাস্টার শফিকুল আলম, সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, কাজী সেকেন্দার আলী ডালিম, লেবার পার্টি সভাপতি লোকমান হাকিম, বিএনপি নেতা এডভোকেট গাজী আব্দুল বারী, খেলাফত মজলিসের জেলা সম্পাদক এডভোকেট গোলাম মোহাম্মদ, বিজেপির নেতা সিরাজউদ্দিন সেন্টু, মুসলিম লীগের এডভোকেট আক্তার জাহান রুকু, খেলাফত মজলিশের মাওলানা নাসিরউদ্দিন, বিএনপি নেতা ডা. গাজী আব্দুল হক প্রমুখ।
বরিশাল অফিস : বরিশালে ১৮ দলের হরতালকে সামনে রেখে নগরীতে মিছিল ও সমাবেশ করেছে। গতকাল বিকাল ৪টায় নগরীর সদররোডে জেলা ও মহানগর বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ও ১৮ দলীয় জোট বরিশালের আহ্বায়ক এডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ার এমপি। বক্তব্য রাখেন বরিশাল মহানগর জামায়াতের আমীর ১৮ দলীয় জোটের সদস্য সচিব এডভোকেট মুয়াযযম হোসাইন হেলাল, জেলা উত্তর বিএনপির সভাপত্বি মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ এমপি, জেলা দক্ষিণ বিএনপির সেক্রেটারি ও সাবেক সংসদ বিলকিস আক্তার জাহান শিরিন, জেলা উত্তর বিএনপির সেক্রেটারি আকন কুদ্দুসুর রহমান, মহানগর বিএনপির সেক্রেটারি এডভোকেট কামরুল আহসান শাহীন, মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি জহির উদ্দিন মু. বাবার, সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা মতিউর রহমান, বিএনপি নেতা মনিরুজ্জামান ফারুক, জিয়া উদ্দিন সিকদার, ছাত্র দলের মহানগর সভাপতি খন্দকার আবুল হোসেন লিমন, ছাত্রশিবির মহানগর সভাপতি আব্দুল্লাহ আল নাহিয়ান।
বিক্ষোভ পূর্ব সমাবেশে বক্তরা বলেন, স্বরণকালের সবচেয়ে কঠিন হরতাল পালন করতে হবে। রাজপথ, নৌপথ, রেলপথসহ সকল কিছু অচল করে দিতে হবে। বক্তরা নগরবাসীকে আশ্বস্ত করে বলেন, আপনাদের উপর সৈরাচারি, খুনি ও ফ্যাসিবাদী সরকার চেপে বসেছে এর অপসারণে জনগণকে ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। সমাবেশ শেষে একটি বিশাল মিছিল নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আবার বিএনপি কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।
রংপুর অফিস : গতকাল শনিবার দুপুরে রংপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট।
১৮ দলীয় জোট ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফ্ফর হোসেনের নেতৃত্বে দুপুরে নগরীর গ্রান্ড হোটেল মোড় থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে নগরীর সুপার মোর্কেট মোড়, পায়রা চত্বর, জাহাজ কোম্পানি মোড় হয়ে পূণরায় পার্টি অফিসে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাবেক এমপি শাহিদার রহমান জোসনা, যুগ্ম আহ্বায়ক শামসুজ্জামান সামু, শহিদুল ইসলাম মিজু, ইসলামী ঐক্যজোটের সেক্রেটারি নুরুল ইসলাম জিহাদী, খেলাফত মজলিশের মহানগর সভাপতি সেরাজুল ইসলাম, যুবদল সভাপতি রইচ আহমেদ, সেক্রেটারি আনিছুর রহমান লাকু, সহ-সভাপতি নাজমুল ইসলাম নাজু, সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুল হক ঝন্টু, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি মাহফুজ উন-নবী-ডন, জেলা সভাপতি জহির আলম নয়ন প্রমুখ। বক্তারা বলেন দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাবো না।
অন্যদিকে গতকাল দুপুরে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক হযরত বেলালের নেতৃত্বে হরতালের সমর্থনে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিল শেষে প্রশাসনিক ভবন ১ এ ভিসি অফিসের সামনে পরপর কয়েকটি ককটেল বিষ্ফোরণ হয়। এদিকে দুপুরে নগরীতে ১৮ দলের মিছিল চলাকালে মার্কেন্টাইল ব্যাংক, কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকসহ বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ইটপাটকেল ছোড়া হয়। এছাড়াও নগরীতে ১৫/২০টি অটো রিকশা ভাংচুর করা হয়। এসময় নগরীতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে দেয়। লোকজন আতংকে দিকবিদিক ছোটাছুটি করে।
কোতোয়ালি থানার ওসি সৈয়দ শাহাবুদ্দিন খলিফা জানান, ভাংচুরকারীদের সনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। পরিস্থিতি আপাতত শান্ত আছে।
ঝিনাইদহ সংবাদদাতা : ঝিনাইদহে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জেলা বিএনপি। শনিবার সকাল থেকে খ- খ- মিছিল নিয়ে দলীয় নেতা-কর্মীরা শহরের ওয়াজির আলী হাইস্কুল মাঠে এসে সমবেত হন।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শহরের এইচএসএস সড়ক থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিলে নেতৃত্ব দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মসিউর রহমান। বৃষ্টি উপেক্ষা করে জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের শত শত নেতাকর্মী মিছিলে অংশ নেয়। পরে শহরের পোস্ট অফিস মোড়ে সমাবেশ করে বিএনপি নেতাকর্মীরা। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মসিউর রহমান, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক, যুগ্ম সম্পাদক এডভোকেট এমএ মজিদ, বিএনপি নেতা জাহিদুজ্জামান মনা, মুন্সী কামাল আজাদ পান্নু, আক্তারুজ্জামান, আব্দুল মজিদ বিশ্বাস, আশরাফুল ইসলাম পিন্টু প্রমুখ।
বগুড়া অফিস : দেশব্যাপী টানা তিন দিনের হরতালের সমর্থনে গতকাল শনিবার বিকেলে শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ১৮ দলীয় জোট। বিকাল পৌনে ৫টায় পৌর পার্ক থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি সাতমাথা হয়ে নবাববাড়ী সড়কে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ। এর আগে পৌর পার্কে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ১৮ দলের জেলা সমন্বয় ও জেলা বিএনপির সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলাম, যুগ্ম-সমন্বয়ক ও জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন, নায়েবে আমীর মাওলানা আলমগীর হুসাইন, সহকারি সেক্রেটারি এডভোকেট রিয়াজ উদ্দিন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চাঁন, সাবেক এমপি হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, রেজাউল করিম বাদশা, জাগপা সভাপতি আমীর হোসেন ম-ল, এলডিপি সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোখরেছুর রহমান, বিএনপি নেতা আলী আজগর হেনা, যুবদলের সভাপতি সিপার আল বখতিয়ার, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মেহেদী হাসান হিমু, মহিলা দল সভানেত্রী লাভলী রহমান, ইসলামী ঐক্যজোটের সেক্রেটারি মুফতি আব্দুল ওয়াহেদ, শহর শিবিরের সেক্রেটারি রেজাউল করিম প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, সরকার গত ৫ বছর ১৮ দলের নেতাকর্মিদের ওপর জুলুম-নির্যাতন করেছে। পুলিশের হয়রানিতে নেতাকর্মীরা মাসের পর মাস ঘরবাড়ি ছেড়ে ফেরারি জীবন যাপন করেছে। এখন থেকে আর কোন জুলুম-নির্যাতন সহ্য করা হবে না।
টঙ্গী সংবাদদাতা : গতকাল শনিবার টঙ্গী থানা জামায়াতের সেক্রেটারি মোঃ আফজল হোসাইনের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি টঙ্গী কলেজ গেইট এলাকা থেকে বের হয়ে বিভিন্ন এলাকা হয়ে ঢাকা-মোমেনশাহী মহাসড়কের সফিউদ্দিন সরকার একাডেমি এলাকায় গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। এ সময় মিছিলে অংশ নেন টঙ্গী থানার ৪৮নং ওয়ার্ড আমীর মোঃ নজরুল ইমলাম, টঙ্গী থানা জামায়াতের শূরা ও কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আখতার মাহমুদ ইয়াকুব, টঙ্গী থানা শিবিরের সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমান, টঙ্গী কলেজ শাখা শিবিরের সভাপতি মোঃ ফজলুল হক নোমানসহ স্থানীয় জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা। এসময় জনসাধারণকে হাত নেড়ে মিছিলকারীদের সাথে একাত্বতা প্রকাশ করতে দেখা গেছে।
সাতক্ষীরা সংবাদদাতা : ১৮ দলের ডাকা টানা ৩ দিনের হরতালের সমর্থনে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভ করেছে বিএনপি ও জামায়াত। বিকালে জেলার ৭৮টি ইউনিয়নে একর্মসুচি পালিত হয়। সন্ধায় সাতক্ষীরা শহরের তুফানকোম্পানি মোড় থেকে মিছিল বের করে ছাত্রশিবির। একই দাবিতে বিক্ষোভ করেছে কলারোয়া জামায়াত। উপজেলায় এ যোগে জয়নগর, জালালাবাদ, কয়লা, লাঙ্গলঝাড়া, কেড়াগাছি, সোনাবাড়িয়া, চন্দনপুর, কেরালকাতা, হেলাতলা, কুশাডাঙ্গা, দেওয়ড়া ও যুগিখালি বাজারে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা করেছে তারা। সদরের ভোমরা, কুশখালি, আগরদাড়ি, আলিপুরসহ ১০টি স্থানে বিক্ষোভ করেছে সদর জামায়াত। অন্যদিকে তালার সরুলিয়া, ধানদিয়া, নগরঘাটা, কুমিরা, ইসলামকাটি, মাগুরা, খলিশখালি, তালা, জালালপুর, খেশরায় নেতাকশীদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেছে উপজেলা জামায়াত। শ্যামনগর সোনামোড়, নওয়াডেকি বাজার, চালতেতলা, কাশিমারি, নুরনগর, ভেটখালি, মুন্সিগঞ্জ, পদ্মপুকুর গরুর হাটখোলাসহ সবকটি ইউনিয়নে বিক্ষোভ করেছে শ্যামনগর জামায়াত। এছাড়া কালিগঞ্জ উপজেলা ৮টি স্পটে, দেবহাটা ৪টি বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করেছে দলটি। বিকাল ৫টায় সখিপুর বাড়ার মোড়ে আয়োজিত মিছিল পরবর্তি প্রতিবাদ সভায় উপজেলা জামায়াতের আমীর আসাদুজ্জামান মুকুল বক্তব্য রাখেন।
আশাশুনির ৭টি ইউনিয়ন, সদরসহ বিভিন্ন থানা শাখায় প্রতিবাদ সভা করেছে স্থানীয় জামায়াত। প্রতিবাদ সভায় বক্তরা অবিলম্বে সরকার পতনের আহ্বান জানান।
লালমনিরহাট সংবাদদাতা : দেশব্যাপী তত্ত্বাবধায় সরকারের দাবিতে ১৮ দলের টানা ৬০ ঘণ্টা হরতালের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল অংশ হিসেবে লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান বাবলা ও জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি ও পলাশী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আলাউল ইসলাম ফাতেমী পাভেল জেলা শিবিরের সভাপতি মোঃ সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে মিশন মোড় থেকে মিছিল শুরু হয়ে মিছিলটি বড় মসজিদ এর সামন, কালিবাড়ি, থানা মোড় হয়ে পুরান বাজার দিয়ে গিয়ে আবার মিশন মোড় হয়ে বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে ঘুরে মিশন মোড়ে এসে শেষ হয়। পরে সংক্ষিপ্ত পথ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পাবনা সংবাদদাতা : তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ডাকা টানা ৩ দিনের হরতালের সমর্থনে পাবনা জেলা ১৮ দলীয় জোটের এক বিশাল মিছিল পাবনা শহরে অনুষ্ঠিত হয়। জেলা বিএনপির জেলা পারাস্থ অস্থায়ী কার্যালয় চত্বর থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে মহিলা কলেজ রোড, নিউ মার্কেট রোড, ইন্দ্রাড়া মোড়, ট্রাফিক মোড়, চাপা মসজিদ মোড় হয়ে দই বাজার মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে মিছিলে হাজার হাজার কর্মী অংশগ্রহণ করে। বিকাল সাড়ে ৪টায় অনুষ্ঠিত উক্ত মিছিলে নেতৃত্ব দেন পাবনা ১৮ দলীয় জোটের জেলা কমিটির সদস্য সচিব ও জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডল এবং জেলা বিএনপির সেক্রেটারি হাবিবুর রহমান তোতা। উপস্থিত ছিলেন পাবনা জেলা বিনপির সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মান্নান, পাবনা পৌর বিএনপির সভাপতি তৌফিক হাবিব, পাবনা সদর উপজেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক আব্দুল গাফ্ফার খান, পৌর জামায়াতের সেক্রেটারি মোঃ ফজলুর রহমান প্রমুখ।
নোয়াখালী সংবাদদাতা : হরতালের সমর্থনে গতকাল শনিবার বিকালে বিএনপি নেতা মাহবুব আলমগীর আলো, গিয়াস উদ্দিন সেলিম ও শিবির নেতা মাহবুবে এলাহীর নেতৃত্বে জেলা শহর মাইজদী প্রধান সড়ক মিছিল হয়েছে।
কালিয়াকৈর (গাজীপুর) সংবাদদাতা : দুইদিনের হরতালের সমর্থনে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলা সদর বাসস্টেশনে গতকাল শনিবার বিকালে পৌর বিএনপির উদ্যোগে নির্দলীয় তত্ত্বাধায়ক সরকারের দাবিতে ১৮ দলীয় জোটের উদ্যোগে বিক্ষেভ মিছিল করা হয়েছে। কালিয়াকৈর পৌর বিএনপির সভাপতি হুমায়ূন কবির খানের উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কালিয়াকৈর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোঃ আব্দুল লতিফ, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ হেলাল উদ্দিন, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মজিবুর রহমান, উপজেলা জামায়াতের আমীর মোঃ সফি উদ্দিন, আক্তারুজ্জমান প্রমুখ।
সিরাজগঞ্জ সংবাদদাতা : গতকাল বিকেলে সিরংাজগঞ্জ জেলা ১৮ দলীয় ঐক্যজোটের উদ্যোগে ১৮ দলীয় জেলা নেতৃবৃন্দের নেতৃত্বে কেন্দ্রঘোষিত হরতালের সমর্থনে এক বিক্ষোভ মিছিল শহর প্রদক্ষিণ করে। জেলা ১৮ দলীয় ঐক্যজোট হরতালকে বাস্তবায়নের জন্য কয়েক ভাগে বিভক্ত হয়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে মিছিল বের করে। এতে নেতৃত্ব দেন মুন্সী জাহিদ আলম শহর বিএনপি সেক্রেটারি, জেলা ছাত্র দলের যুগ্ন আহ্বায়ক মুরাদুজ্জামান মুরাদ, শহর জামায়াতের আমীর প্রভাষক শহীদুল ইসলাম, সাইদুর রহমান বাচ্চু, মোঃ আল আমিন, ১৪নং ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি মামুনুর রহমান মামুন। এছাড়াও রহমতগঞ্জ, সমাজকল্যাণ, কাঠেরপুলসহ অন্যান্য ওয়ার্ডে আলাদা আলাদা মিছিল করে হরতাল সমর্থনকারীরা।
উল্লেখ্য, গতকালের এই মিছিলকে গোটা শহরবাসী করতালী দিয়ে সমর্থন জানান।
No comments:
Post a Comment