ইসলামী দলসমূহের নেতৃবৃন্দ এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, আল্লাহ, মহানবী (সাঃ)-এর সম্মান রক্ষা, ইসলাম ও ঈমান হেফাজতের তাগিদেই ১৫ নবেম্বর শাপলা চত্বরের মহাসমাবেশ সফল করতে হবে।
আল্লাহ ও মহানবী (সাঃ)-এর সম্মান হেফাজত, দেশের সংবিধানে মহান আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস স্থাপন, কুরআন সুন্নাহবিরোধী নারীর প্রতি অবমাননাকর নারী নীতি, ধর্মহীন শিক্ষা নীতি সংশোধন, নাস্তিক, মুরতাদ ব্লগার ও মহানবী (সাঃ)কে কটূক্তিকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি, কওমী মাদরাসা ধ্বংসের ষড়যন্ত্র বন্ধসহ হেফাজতের ১৩ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আগামী ১৫ নবেম্বর শুক্রবার ঐতিহাসিক শাপলা চত্বরে ঈমান রক্ষার এ মহাসমাবেশের ডাক দেয়া হয়েছে।
হেফাজতের আমীর আল্লামা আহমদ শফী সাহেব নিজেই এ মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছেন এবং ডিএমপি কমিশনারের অনুমতির জন্য যথাযথ আবেদন করা হয়েছে। অথচ হঠাৎ করে একটি বাতিল গোষ্ঠী, ওলামায়ে ছুঁ-গংরা উক্ত মহাসমাবেশ বানচাল করার নানামুখী চক্রান্ত করছে। উক্ত ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে কেউ কেউ পাল্টা সমাবেশ ডাকার হুংকার দিচ্ছে। আবার কেউ স্বৈরাচারী এরশাদের সাথে হাত মিলিয়ে জোটবদ্ধভাবে নির্বাচনের দিবা স্বপ্ন দেখছে। আবার কতিপয় দুনিয়া লোভীরা গোপনে সরকারের সাথে আঁতাত করছে। (যা ইত্তেফাক ও আমাদের সময় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে যে, হেফাজতের কতিপয় স্বার্থান্বেষী চক্র হোটেল সোনারগাঁয়ে মহাজোট নেতাদের সাথে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন)। এটা নিছক ঈমানী আন্দোলনকে মহা সর্বনাশ করার হীন ও সুগভীর চক্রান্ত।
তাই আমরা দলমত নির্বিশেষে সকল স্তরের কালিমাগো মুসলমানকে আমাদের ঈমানী আন্দোলনে শামিল হয়ে ১৫ নবেম্বর শাপলা চত্বরে মহাসমাবেশে ঐক্যবদ্ধভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানাচ্ছি। চোখ, কান খোলা রেখে ওলামায়ে ছুঁ-গংদের চক্রান্ত প্রতিহত করা সময়ের দাবি।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন- শীর্ষ আলেমে দ্বীন, রাবেতা আলম আল ইসলামীর স্থায়ী সদস্য ও সম্মিলিত ওলামা মাশায়েখ পরিষদের সভাপতি মাওলানা মুহিউদ্দীন খান, খেলাফত আন্দোলনের প্রধান আমীরে শরীয়ত ও ইসলামী দলসমূহের আহ্বায়ক ও হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমীর মাওলানা শাহ আহমদুল্লাহ আশরাফ, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের সভাপতি শাইখ মাওলানা আবদুল মোমিন, খেলাফত মজলিশের আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মাদ ইসহাক, ইসলামী ঐক্যজোটের আমীর মাওলানা আব্দুল লতিফ নেজামী, নেজামে ইসলাম পার্টি আমীর মুফতি ইজহারুল ইসলাম চৌধুরী, ইসলামী দলসমূহের সদস্যসচিব ও খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা জাফরুল্লাহ খান, সম্মিলিত ওলামা মাশায়েখ পরিষদের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা মহিউদ্দীন রব্বানী, সম্মিলিত ওলামা মাশায়েখ পরিষদের যুগ্ম-মহাসচিব ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী, ফরায়েজী আন্দোলনের আমীর মাওলানা আবদুল্লাহ মোহাম্মাদ হাসান, ইসলামী কানুন বাস্তবায়ন পরিষদের আমীর মাওলানা আবু তাহের জিহাদী, সম্মিলিত ওলামা মাশায়েখ পরিষদের ঢাকা মহানগরী সভাপতি মাওলানা আহমাদ আলী কাসেমী, হক্কানী পীর মাশায়েখ পরিষদের সভাপতি শাহতলীর পীর মাওলানা আবুল বশর, তাহরিকে খতমে নুবয়াতের চেয়ারম্যান ড. মাওলানা সৈয়দ এনায়েত উল্লাহ আব্বাসী পীর, মীরের সরাইর পীর মাওলানা আঃ মোমেন নাছেরী, হক্কানী পীর মাশায়েখ পরিষদের মহাসচিব শর্ষীনার পীর মাওলানা শাহ আরিফ বিল্লাহ সিদ্দিকী, টেকেরহাটের পীর মাওলানা কামরুল ইসলাম সাঈদ আনসারী, জাতীয় ফতোয়া বোর্ড সভাপতি প্রফেসর ড. মাওলানা ইহইয়ার রহমান, জমিয়াতে ওলামায়ে দেওবন্দ পরিষদের সভাপতি মাওলানা মুহাদ্দেস আবদুল্লাহ কাসেমী ও সেক্রেটারি মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক কাসেমী, খেলাফত যুব আন্দোলনের সভাপতি মুফতি ফখরুল ইসলাম, আহকামে শরীয়াহ হেফাজত কমিটির চেয়ারম্যান মুফতি মাহবুবুর রহমান ও সদস্য সচিব অধ্যাপক আবদুস সবুর মাতুব্বর, জমিয়তুল মুফাসসিরিন সভাপতি মাওলানা বেলাল হোসাইন ও সেক্রেটারি মাওলানা নুরুল আমীন, ইসলাহুল মুসলিমীন সভাপতি মুফতি আবুল বাশার, ইসলামের জনতা সভাপতি মুফতি আবদুল কুদ্দুস, ইসলামী সংগ্রাম পরিষদ সেক্রেটারি ড. মাওলানা আবদুর রহমান, হুফ্ফাজ পরিষদ সভাপতি হাফেজ লেয়াকত হোসাইন ও সেক্রেটারি মুফতি মাহবুবুর রহমান, চরমোনাইয়ের পীর (মরহুম ফজলুল করীম সাহেবের ভাই) মাওলানা ফিরদাউস বিন ইসহাক, জাতীয় খতীব পরিষদের আমীর মুফতি মাওলানা মাসউদুর রহমান, ইসলাহুল উম্মাহ চেয়ারম্যান মাওলানা আবু হানিফ নেসারী, ইসলামী অন লাইন এ্যাক্টিভিটস সভাপতি শায়খুল হাদীস মাওলানা আবদুস সামাদ ও মহাসচিব মুফতি আবু আনাস, নাস্তিক মুরতাদ প্রতিরোধ কমিটির চেয়ারম্যান মুফতি আ ন ম আবদুল কুদ্দুস, ইমাম কল্যাণ সমিতির সভাপতি পীর মাওলানা সালাহ উদ্দীন, জাতীয় ইমাম সোসাইটির মহাসচিব মুফতি জোবায়ের আহমদ কাসেমী, মাওলানা আবদুর রহমান চৌধুরী, মুফাসসিরে কুরআন মাওলানা লুৎফর রহমান, মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল জাব্বার, মুফতি ঈসা, মুফতি কেফায়েত উল্লাহ, মাওলানা আবু দাউদ জাকারিয়া, মুফতি ডা. আবদুল কাউয়ূম আযহারী, তালিমুল কুরআন সোসাইটির মহাসচিব মুফতি আবদুল হালিম, আল কুরআন ফাউন্ডেশন সভাপতি মুফতি জামাল উদ্দীন ও সেক্রেটারি মুফতি নূর হোসাইন, জাতীয় ইমাম ওলামা পরিষদের সভাপতি শায়খুল হাদীস মাওলানা ফজলুর রহমান ও মহাসচিব মাওলানা এ বি এম শরিফুল্লাহ, মাদরাসা মসজিদ ও খানকা ঐক্যপরিষদ সভাপতি মাওলানা রফিকুর রহমান ও সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা গোলাম কিবরিয়া, ইসলামী সমাজ সভাপতি মুফতি মাহমুদুল হাসান ও সেক্রেটারি জেনারেল মুফতি জাকারিয়া ইসলাহী, মুহাদ্দিস মাওলানা রুহুল আমীন, মুফাস্সির আবুল কাশেম গাজী, মুহাদ্দিস আবুল হাসান, মুফতি হোসাইন আহম্মাদ, অধ্যক্ষ মাওলানা মোশাররফ হোসাইন, মুফতি কাজী জালাল উদ্দীন, মুফতি নূর হোসাইন, ইমাম মুয়াজ্জিন পরিষদ সভাপতি মাওলানা সালেহ সিদ্দিকী ও সেক্রেটারি মুফতি জুবায়ের আহমদ, ইসলামিক পার্টির চেয়ারম্যান এডভোকেট আবদুল মোবিন, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব এম এ রশীদ প্রধান, মাদরাসা কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মাওলানা মহিউদ্দীন প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
No comments:
Post a Comment