Saturday, 26 October 2013

রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে জামায়াতের পিকেটিং





বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারি মঞ্জুরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেছেন, চলমান গণআন্দোলনকে বিভ্রান্ত করার জন্যই প্রধানমন্ত্রী কথিত সংলাপের ধুয়া তুলেছেন। কিন্তু আওয়ামী ষড়যন্ত্রে জনগণ আর কখনোই বিভ্রান্ত হবে না। সরকারের অপশাসন দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাজপথে নেমে এসেছে। গণদাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা কখনোই ঘরে ফিরে যাবে না। তারা আজকের হরতাল সর্বাত্মকভাবে সফল করে সরকারকে লাল বার্তা পাঠিয়েছে। তিনি সরকারকে ষড়যন্ত্র ও বিভ্রান্তির রাজনীতি পরিহার করে অবিলম্বে কেয়ারটেকার সরকারের দাবি মেনে নিয়ে সরকারকে পদত্যাগ ও নতুন নির্বাচনের মাধ্যমে জনমত যাচাইয়ের আহবান জানান। অন্যথায় দেশপ্রেমী জনতার তোপের মুখে সরকারকে ক্ষমতা থেকে লজ্জাজনকভাবে বিদায় নিতে হবে। কোনো শক্তিই আওয়ামী লীগের শেষ রক্ষা করতে পারবে না। তিনি আজ রাজধানীর কোতয়ালীতে সরকারের জুলুম-নির্যাতন বন্ধ, কেয়াটেকার সরকারের গণদাবি মেনে নিয়ে সরকারের পদত্যাগ, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচন, কথিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের নামে প্রহসন বন্ধ, প্রশ্নবিদ্ধ ও বিতর্কিত ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে আমিরে জামায়াত মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীসহ শীর্ষ নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবিতে দেশব্যাপী লাগাতর ৬০ ঘণ্টার হরতালের সমর্থনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী আয়োজিত এক বিক্ষোভ পরবর্তী সমাবেশে একথা বলেন। মিছিলটি বাবুবাজার থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে নয়াবাজারে গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরীর মজলিশে শুরা সদস্য অধ্যক্ষ এস এম আহসান উল্লাহ, কোতয়ালী থানা সেক্রেটারি খন্দকার আল আমীন, জামায়াত নেতা এ কে এম গিয়াস উদ্দীন, জহির উদ্দীন, আহাদুজ্জামান, নূরে আলম, মনির হোসেন, নাজমুল হোসেন, ডা. বদরুল আলম, ছাত্র নেতা মাহবুব আলম, ফখরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম প্রমূখ। সমাবেশ শেষে পুলিশ জনতার উপর অতর্কিত হামলা চালালে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। মঞ্জুরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, সরকার জনগণের উপর যতই জুলুম-নির্যাতন করছে সরকার বিরোধী গণআন্দোলন ততই শানিত হচ্ছে। তারা ক্ষমতা হারানোর ভয়ে এখন হিতাহিত জ্ঞানশূণ্য হয়ে এখন উম্মাদের মত আচরণ করছে। গত ২৫ অক্টোবর তারা জনগণের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ পুলিশ বাহিনী ও দলীয় সন্ত্রাসী লেলিয়ে দিয়ে নয়জনকে হত্যা করেছে। অসংখ্য মানুষকে আহত করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে শত শত মানুষকে। আজকের হরতালেও পুলিশসহ আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী জনগণের সাথে সরকার দলীয় ক্যাডারদের মত আচরণ করছে এবং আওয়ামী সন্ত্রাসীরা আন্দোলনরত জনতার উপর হায়েনার মত ঝাঁপিয়ে পড়ছে। কিন্তু জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে অতীতের কোনো স্বৈরাচারেরই শেষ রক্ষা হয়নি। আওয়ামী লীগেরও শেষ রক্ষা হবে না। তিনি বলেন, সরকার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নির্মূল করার জন্যই কথিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের নামে প্রসহন করে জামায়াতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ জাতীয় নেতাদের হত্যা করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। কথিত অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে সাজানো হয়েছে দলীয় চিন্তা-চেতনার লোক দিয়ে। আর একের পর এক প্রাণদণ্ডে দন্ডিত করা হচ্ছে জামায়াতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ জাতীয় নেতৃবৃন্দকে। ইতোমধ্যেই বিশ্ববরেণ্য মোফাসসিরে কুরআন ও নায়েবে আমির আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামান ও আব্দুল কাদের মোল্লাকে প্রাণদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। সাবেক আমিরে জামায়াত ও ভাষা সৈনিক আধ্যাপক গোলাম আযমকে দীর্ঘ মেয়াদের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। কিন্তু মানুষ এসব বরেণ্য জাতীয় নেতাদের বিরুদ্ধে ফরমায়েসী দণ্ডাদেশ কখনোই মেনে নেবে না। তিনি বিচারের নামে প্রহসন বন্ধ, প্রশ্নবিদ্ধ ও বিতর্কিত ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে অবিলম্বে আমীরে জামায়াত মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীসহ শীর্ষ নেতৃবৃন্দের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন। অন্যথায় সারা দেশে যে দাবানল ছড়িয়ে পড়তে আওয়ামী জালিম শাহীর তখতে তাউস ছারখার হয়ে যাবে। মিরপুর পশ্চিম থানা টানা তিন দিনের হরতালের সমর্থনে মিরপুর পশ্চিম থানার উদ্যোগে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি কল্যাণপুর নতুন বাজার থেকে শুরু হয়ে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে মধ্য পাইকপাড়া বাজারে গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মিরপুর পশ্চিম থানা আমির মাহফুজুর রহমান, দারুসসালাম থানা আমির মাওলানা বেলাল হোসাইন, শাহ আলী থানা আমির মিজানুল হক, বাংলা কলেজের শিবির সভাপতি হামিদুল্লাহ, মিরপুর পশ্চিম থানার সভাপতি জাহিদুল ইসলাম প্রমূখ। কামরাঙ্গীরচর থানা হরতালের সমর্থনে কামরাঙ্গীরচর থানার উদ্যোগে নগরীতে বিক্ষোভ-সমাবেশ অনুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন থানা সেক্রেটারি আবু আব্দুল্লাহ, জামায়াত নেতা মাসুমবিল্লাহ, শহীদুল্লাহ, আনোয়ার হোসেন, ছাত্র নেতা হেলাল উদ্দীন, আব্দুল জলিল প্রমুখ। বংশাল থানা হরতালের সমর্থনে বংশাল থানার উদ্যোগে নগরীতে মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মিছিলটি নয়াবাজার থেকে শুরু হয়ে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়েছে। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন থানা সেক্রেটারি এম আলম, জামায়াত নেতা আব্দুল মালেক, ফজলে আজীম, আসাদুল্লাহ, ইউসুফ আলী, আব্দুল হামিদ প্রমূখ। ভাষানকেট ও কাফরুল থানা হরতালের সমর্থনে ভাষানটেক ও কাফরুল থানার যৌথ উদ্যোগে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি ইব্রাহিমপুর বাজার থেকে শুরু হয়ে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শেওড়াপাড়ায় গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত আমির অধ্যাপক আনোয়ারুল করিম, ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি আব্দুল হালিম ভূঁইয়া, ভাষানটেক থানা সেক্রেটারি আলাউদ্দীন, জামায়াত নেতা আব্দুল আহাদ জিহাদী, জালাল উদ্দীন, ইকবাল হোসেন প্রমুখ। লালবাগ থানা হরতালের সমর্থনে লালবাগ থানার উদ্যোগে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি লালবাগ থেকে শুরু হয়ে কেল্লার মোড়ে দিয়ে শেষ হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন থানার ভারপ্রাপ্ত আমির জি এম সেলিম, ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী শামীমুল বারী, জামায়াত নেতা নূর মোহাম্মদ, মাইনুদ্দীন, নজরুল ইসলাম, মহসীন কবির, ছাত্রনেতা জাকির হোসেন, আলমগীর প্রমূখ। রমনা থানা হরতালের সমর্থনে রমনা থানা জামায়াতকর্মীরা মগবাজার রেইলগেট এলাকায় মিছিল, সমাবেশ ও পিকেটিং করে। এতে উপস্থিত ছিলেন থানা সেক্রেটারি হাবিবুর রহমান, থানা কর্মপরিষদ সদস্য ইউসুফ আলী মোল্লা, মহানগরী শিবির নেতা শরিফুল ইসলাম, রমনা থানা শিবির সভাপতি আশ্রাফ উদ্দিন প্রমুখ।

No comments:

Post a Comment