প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশে যে বিভ্রান্তিকর ভাষণ দিয়েছেন তা প্রত্যাখ্যান করে জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান গতকাল শুক্রবার বিবৃতি দিয়েছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ অন্তঃসার শূন্য কথামালার ফুলঝুরি ছাড়া আর কিছুই নয়। তার এ ভাষণ জাতির নিকট গ্রহণযোগ্য নয়। জনগণের আন্দোলন বানচাল করার হীন উদ্দেশ্যেই তিনি সর্বদলীয় সরকারের প্রস্তাব দিয়েছেন। দেশের মানুষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। জাতির নিকট তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোন বিকল্প নেই। দেশের শতকরা ৯০ জন মানুষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। কাজেই আগামী ২৪ অক্টোবরের আগেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে পুনর্বহাল করে সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে পদত্যাগ করার জন্য তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা, তথাকথিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য গঠিত ট্রাইব্যুনাল এবং দেশের উন্নয়ন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, তার সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত সিটি করপোরেশনের নির্বাচন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমল সম্পর্কে, চালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য, রাস্তাঘাট যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, জনস্বাস্থ্য, শিক্ষা, চিকিৎসা সম্পর্কে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা নির্জলা মিথ্যাচার ছাড়া আর কিছুই না। তার এ ভাষণ দুরভিসন্ধিমূলক এবং মিথ্যাচারের দলিল।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে পুনর্বহাল করে বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ ট্রাইব্যুনাল ভেঙ্গে দিয়ে জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ ১৮ দলের নেতা-কর্মী ও আলেমদের মুক্তি দিয়ে অবিলম্বে পদত্যাগ করার জন্য তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। সেই সাথে উপরোল্লিখিত দাবিসমূহ আদায় করার জন্য তীব্র গণআন্দোলন গড়ে তোলার জন্য তিনি দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।
No comments:
Post a Comment