Monday, 25 November 2013

রাজশাহীতে পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা, আহত ৫০

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়ার পর পরই রাজশাহীর বিভিন্নস্থানে বিচ্ছিন্নভাবে হামলা, ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা শুরু হয়েছে।

সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ১৮ দলের কর্মীরা মালোপাড়া পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালায়। এসময় উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে পুলিশ সদস্যসহ আহত হন অন্তত ৫০জন। এছাড়া নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ও যাত্রীবাহী বাসে আগুনের ঘটনা ঘটেছে।

রাত সোয়া ৮টার দিকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মিজানুর রহমান মিনু, সিটি মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, জামায়াত মহানগর শাখার ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি ইমাজ উদ্দিন মন্ডলের নেতৃত্বে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকার্মীরা ঘোষিত তফসিলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল বের করে।

পরে সেখানে আগে থেকেই প্রস্তুত থাকা পুলিশ গিয়ে বাধা দিলে ব্যাপক সংঘর্ষ বেঁধে যায়। মুহূর্তের মধ্যে বন্ধ হয়ে যায় মহানগরীর সাহেব বাজার, মালোপাড়া, গণকপাড়াসহ আশপাশের সব ব্যবসায়ী দোকান-পাট। বিকট শব্দে দফায় দফায় ককটেল বিস্ফোরণে লোকজন ছোটাছুটি শুরু করে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে থেকেই মহানগরীর মালোপাড়ায় মহানগর বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে জমায়েত শুরু করে বিএনপি নেতাকর্মীরা।

তফসিল ঘোষণার পরপরই বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে গিয়ে মহানগরীর মালোপাড়া পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালানো হয়। এসময় পুলিশ প্রতিরোধে এগিয়ে এলে মালোপাড়া এলাকায় ১৮ দলের কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ বাঁধে। এতে পুলিশের দুই সদস্যসহ আন্তত ৫০ জন আহত  হন।

পরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও ৠাব সদস্যরা গিয়ে রাবার বুলেট, টিয়ারশেল ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। এ ঘটনার পর থেকে পুরো মহানগরীজুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। বর্তমানে মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।

মহানগরীর রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম রেজাউল করিম বলেন, বিস্ফোরিত ককটেলগুলোর আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি জিডি করা হবে। নির্বাচন অফিসের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এছাড়া মহানগরীর কাটাখালি এলাকায় ঢাকাগামী যাত্রীবাহী শ্যামলী পরিবহনে অগ্নিসংযোগ করা হয়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে আগুন নিভিয়ে ফেলায় কেউ হতাহত হয়নি। এসময় ওই সড়কে আরও বেশ কয়েকটি যাত্রীবাহী কোচে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত কর্মীরা।

অপরদিকে, রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশন অফিসে পর পর ৪টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় ১৮ দল কর্মীরা।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে রাজশাহী জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, দু’জন মোটরসাইকেল আরোহী নির্বাচন কার্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে হঠাৎ পর পর ৪টি ককটেল ছোড়ে। ককটেলগুলো নির্বাচন কার্যালয় চত্বরে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে।

তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। ঘটনার পর রাজশাহী জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে। বর্তমানে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

No comments:

Post a Comment