শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো পৃথক বিৃবতিতে দল দুটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব এ দাবি জানান।
বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বে যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল আকস্মিকভাবে ররিবার ভোর ৬টা থেকে ঢাকা মহানগরে সকল সভা-সমাবেশ, মিছিল, অবস্থান, মানববন্ধন নিষিদ্ধ করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
তিনি বলেন, ‘সরকারের এই চরম অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত বিরোধী দলের ওপর দমন-পীড়নের আর একটি অধ্যায় যুক্ত হলো। আগামীকাল ২০ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য পেশাজীবীদের এবং ২৫ অক্টোবর ১৮ দলীয় জোটের সমাবেশ বানচাল করার জন্যই সরকার চক্রান্তমূলকভাবে এই ফাসিবাদী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিগত ৫ বছর ধরেই সরকারের অন্ধ হিংসা ও প্রতিহিংসামূলক নিপীড়ন-নির্যাতনে বিএনপিসহ আন্দোলনরত বিরোধী দলকে দমন করতে না পেরে ক্ষমতার মেয়াদ শেষে তাদের অত্যাচার উগ্ররূপ ধারণ করেছে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিকে অগ্রাহ্য করে গণবিচ্ছিন্ন এই সরকার ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে বিরোধী দল শূন্য একটি রাজনৈতিক ব্যবস্থার দিকে এগোচ্ছে।’
তিনি সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের এই স্বেচ্ছাচারী অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানান।
জামায়াতের কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের মো. ইব্রাহিম স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে দলটির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম একই দাবি জানান।
তিনি অবিলম্বে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে পুনর্বহাল করে প্রশ্নবিদ্ধ ও বিতর্কিত ট্রাইব্যুনাল ভেঙে জামায়াতের শীর্ষনেতাসহ গ্রেপ্তার ১৮ দলের নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করেন।
এছাড়া একই বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গাণি ও মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।
আর জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন এই ঘটনাকে সরকারের স্বৈরাচারী মনোবৃত্তি ও জনভীতির বহিঃপ্রকাশ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
No comments:
Post a Comment