Saturday, 21 December 2013

‘এটা কি? আরবি গান?’ আমি হেসে বললাম, ‘না এটা কুরআন তেলাওয়াত।’




গান শোনা ছাড়ার জন্য আমি মোবাইলে কুরআন তেলাওয়াত রাখতাম। অভ্যাস বশত কিছু শুনতে ইচ্ছা করলেই তেলাওয়াত শুনতাম। একদিন হোস্টেলে মোবাইল টেবিলে রেখে কি জানি করছিলাম, এক বিধর্মী মেয়ে আমার মোবাইল নিয়ে তেলাওয়াত চালু করলো। তার বোধহয় বেশ ভালো লাগছিলো শুনতে, আমাকে হঠাৎ জিজ্ঞেস করলো, ‘এটা কি? আরবি গান?’ আমি হেসে বললাম, ‘না এটা কুরআন শরীফ তেলাওয়াত।’

কুরআন শরীফের মতো ছন্দময়, কোরআন তিলাওয়াতের থেকে সুমিষ্ট, সুরেলা ও শ্রুতিমধুর আর কিছু নেই, কিছু হতে পারে না। এমনকি যে কুরআন এর মর্ম জানে না, সেও আকৃষ্ট হয় এর সৌন্দর্যে। কিন্তু আমরা মুসলিমরা যদি কোরআন তেলাওয়াত থেকে এর ছন্দ ছাড়া আর কিছুই অর্জন করতে না পারি, তবে কিভাবে হবে?

আল কুরআন তো আল্লাহর কথা। আমরা যদি তা না জানি এবং শিক্ষা নিয়ে আমল না করি তাহলে আমাদের থেকে দুর্ভাগা আর কেউ হতে পারে না। ছোটবেলা থেকে কুরআন আমাদের শুধু তোতা পাখির মতো পড়ার মধ্যেই সীমিত থেকে যায়, বোঝা আর হয় না। অথচ আল্লাহ্‌ সুবহানাহু তায়ালা সুরা-আল কামারে বার বার আহ্বান করেছেন: ‘আমি কোরআনকে সহজ করে দিয়েছি বোঝার জন্যে। অতএব, কেউ আছে কি? এ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করার’।

কুরআন শরীফে অসংখ্য উদাহরণ, দৃষ্টান্ত বলা হয়েছে যা থেকে মানুষ শিক্ষা গ্রহন করতে পারে। আল্লাহ্‌ তায়ালা বলেছেন: “আমি এ কোরআনে মানুষের জন্যে সব দৃষ্টান্তই বর্ণনা করেছি, যাতে তারা অনুধাবন করে”। (সুরা যুমার : আয়াত ২৭) কিন্তু কুরআনের কথা, আল্লাহর বানী আমরা ঠিকমতো জানি না বলেই আমাদের যে যা নিজের সুবিধামতো বোঝায় আমরা বিভ্রান্ত হয়ে যাই। শয়তান চায় আমরা যেন অন্ধ থেকে যাই, কোরআন থেকে জ্ঞান আহরণ না করি – এতেই তার কার্যসিদ্ধি হতে পারে।

আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব পবিত্র কুরআনের অর্থ বুঝে পড়া, এরপর সে অনুযায়ী আমল করা এবং অন্যদের বুঝানো। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে সে সামর্থ্য দিন.

No comments:

Post a Comment